হুগলীর চন্ডীতলার স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীর উদ‍্যোগে ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

26th May 2020 হুগলী
হুগলীর চন্ডীতলার স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীর উদ‍্যোগে ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : মহারাষ্ট্রের রাস্তায় অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ভীর দেখে তাদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করে রিল লাইফের ভিলেন সোনু সুদ রিয়েল লাইফে নায়কের মর্যাদা পেয়েছেন।কর্নাটক,উত্তরপ্রদেশ,পাঞ্জাব সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় বারো হাজার পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার ইতিমধ্যেই ঘরে ফিরেছেন সোনুর উদ্যোগে।এবার মুম্বাই এর স্বর্ণ ব্যবসায়ী অষ্টু দাসের উদ্যোগে ঘরে ফিরছেন বাংলার পরিযায়ীরা।আদতে চন্ডীতলার কৃষ্ণরামপুর বাসিন্দা অষ্টু দাস মুম্বাইবাসী দীর্ঘদিনের।সেখানে জুয়েলারী ব্যবসা রয়েছে তার।তার দোকানে বহু বাংলার থেকে যাওয়া শ্রমিকরা কাজ করে।তেমনি মুম্বাই এর জুহুরি বাজার,জাভেরি বাজার,ভিটি,নালা সোপারে বহু পরিযায়ী স্বর্ণ শিল্পী কাজ করে।দীর্ঘ লকডাউন আর মহারাষ্ট্রে কোভিডের থাবায় ঘরে ফিরতে মরিয়া বাঙালী পরিযায়ী শ্রমিকরা।প্রতিদিন যেভাবে মুম্বাই পুনেতে কোভিড-১৯ সংক্রমন ছড়াচ্ছে তাতে আতঙ্কিত বাংলার পরিযায়ীরা।রাজ্য সরকার পরিযায়ীদের ফেরার জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে,অনেকে ফিরছেন সেই ট্রেনে।কিন্তু তাতেও ভীর কমছে না।অষ্টুবাবু বাস ভাড়া করে বাঙালীদের ফেরার ব্যবস্থা করলেন।এখনো পর্যন্ত সারে পাঁচশ জন ঘরে ফিরেছে ব্যবসায়ীর উদ্যোগে।আজ চন্ডীতলা থানার সামনে এসে দাঁড়ায় দুটি বাস।যারা ফিরছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ঘরে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়।দীর্ঘদিন পর নিজের বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি শ্রমিকরা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।